প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুরো বাংলাদেশ এখন কার্যত লকডাউন। এর প্রভাবে থমকে গেছে অর্থনীতির চাকা। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সারাদেশের মানুষ। দুর্দশা আর দৈন্যতায় দিন কাটছে নিম্নআয়ের মানুষদের। পিতার দেয়া স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে জমানো টাকা কর্মহীন, অসহায়, অসচ্ছল ও অভুক্ত মানুষদের মাঝে উপহার দিয়েছে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র পিনাক রঞ্জন বর্মণ। গতকাল ২৯ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দিীকার হাতে তার সঞ্চয়কৃত ২ হাজার ৪৮৫ টাকা খাদ্য সংকটে পড়া অসহায় দরিদ্র্যদের জন্য তুলে দেয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দিীকা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ছোট্ট শিশুটির জমানো টাকা এভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য দেয়াটা আমি অনুকরণীয় বলে মনে করছি। তার কোমল হৃদয়ে যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিষয়টি আঘাত করেছে এবং সে এ ক্রান্তিকালে গরীব অসহায়দের জন্য ভেবেছে এটাই বিশাল বড় পাওয়া। দেশের এই সংকটের মুহুর্তে স্কুল ছাত্র পিনাক রঞ্জন বর্মণের এই অবদান আমরা সর্বদা মনে রাখবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কথোপোকোথনকালে স্কুল ছাত্র পিনাক রঞ্জন বর্মণ জানায়, আমি টিভিতে দেখেছি গরীব মানুষেরা অসহায়ভাবে দিনযাপন করছেন।
তারা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। অনেক শিশু না খেয়ে আছে। এসব সংবাদ দেখে তাদের জন্য মনটা ভারাক্রান্ত লাগছে। এ অনুশোচনা থেকেই পিতা দেয়া টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে জমিয়ে রাখা ২ হাজার ৪৮৫ টাকা মানবতার কল্যাণে সহায়তা দিলাম। এসময় তার পিতা দিপবিস-১’র চিরিরবন্দর অফিসের কর্মচারী সুশেন চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।