সকল প্রকার চাকরির আবেদন ফি কমানোর জন্য আন্দোলনে নেমেছেন চাকরি প্রার্থীরা। আজ বুধবার সকল থেকে এ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি রাজু ভাস্কর্যে আন্দোলন কর্মূসিচ পালন করে চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা। এ কর্মসূচিতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনেক চাকরির আবেদনে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। যা বেকার চাকরিপ্রার্থীদের অনেকের দেয়ার সামর্থ্য নেই।
তারা বলেন, সবার জন্য যাতে আবেদনের সুযোগ তৈরি হয়, সেজন্য অবশ্যই চাকরির আবেদন ফি কমাতে হবে। না হলে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। যারা বিত্তশালী তারা আবেদন করতে পারছেন, অন্যরা টাকার অভাবে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।
জানা গেছে, চাকরির আবেদন ফি চারতি স্তরে রাখার দাবিতে এ আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৯ম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ২০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ১৫০ টাকা, ১১ থেকে ১৪তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
চাকরী প্রার্থীরা বলছেন, একজন বেকারের পক্ষে মেসে থেকে, হলে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করার পর কীভাবে প্রতি মাসে তিন থেকে চার হাজার আলাদা টাকা চাকরির আবেদন করার জন্য ব্যয় করবে?
আন্দোলনকারীরা আরও বলছেন, তারা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছেন যে, সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে রকম একটি নির্দিষ্ট ফি রাখার ব্যবস্থার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, সে রকম চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি পরিকল্পনার উদ্যোগ নেবে বলে আশা করেন তারা। এটা কোন সরকারবিরোধী আন্দোলন নয় বরং এটা সরকারের পক্ষেরই একটি আন্দোলন।
পরবর্তী কোন কর্মসূচি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, পরবর্তী কোন কর্মসূচি নেই। এটা শুধু সাধারণ একটি কর্মসূচি ছিল। পরবর্তীতে যদি কোন কর্মসূচি থাকে তাহলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সহযোগিতায় জানিয়ে দেয়া হবে।
দেশের অনেকেই তাদের এই সমস্যার কথা বলেছেন জানিয়ে রাশেদ বলেন, ‘অনেকের টিউশনির পুরো টাকা শুধু আবেদনের পেছনেই খরচ হয়। আমাদের সাথে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। তারা তাদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং পাশাপাশি সকল চাকরির প্রস্তুতি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া দিনের ব্রেকিং নিউজ সবার আগে পেতে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন: